জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনে ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় আগামী সোমবারের (১২ জুন) মধ্যে দোষীদের বহিষ্কারসহ দুই দফা দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সন্ধ্যা ছয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো-৩০ দিনের মধ্যে সব হলের মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বের করতে হবে এবং সব বৈধ শিক্ষার্থীর প্রাপ্য সিট নিশ্চিত করে গণরুম-গেস্টরুম প্রথা বাতিল করতে হবে; আগামী সোমবারের (১২ জুন) মধ্যে হামলাকারী ছাত্রদের শনাক্ত করে বহিষ্কার করতে হবে ও হামলাকারীদের মধ্যে থাকা মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে মামলা করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচি বলেন, আমরা প্রশাসনের কাছে দুটি দাবি জানাচ্ছি। প্রশাসন হামলাকারীদের বিষয়ে দ্রুত কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তারা আমাদের আশ্বাস দিচ্ছে এক সপ্তাহের মধ্যে বিচার করবেন। কিন্তু এক সপ্তাহ পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু। তখন তারা নানা জটিলতা দেখাবেন। আমরা সোমবারের মধ্যে দোষীদের শাস্তির দাবি জানায়। অন্যথায় আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারন সম্পাদক অমর্ত্য রায়,সাংগঠনিক সম্পাদক আলিফ মাহমুদ,সহ-সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক কনৌজ কান্তি রায়।
৬ জুন গণরুম বিলুপ্তিসহ তিন দফা দাবিতে অবস্থানরত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম প্রত্যয়ের ওপর হামলা করে হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এ সময় জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচীকে মারধর করা হয়। এছাড়া ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আলিফ মাহমুদ, মাশিয়াত সৃষ্টি, মনিকা নকরেক এবং শারমিন সুরকে হেনস্তা করা হয়।