পাবনার সাঁথিয়ায় জোরপূর্বক জমিজমা লিখে নিয়ে বাবা-মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মেয়ে ও তার জামাইয়ের বিরুদ্ধে। ওই দম্পতি এখন তাদের বড় মেয়ের বাড়িতে বসবাস করেছেন। এ ঘটনায় মামলা করেছেন তারা।
সাঁথিয়া উপজেলার পৌর সদরের বোয়াইলমারী মহল্লায় এমনই ঘটনা ঘটেছে। ৭০ বছরের বৃদ্ধ ওবাইদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মেরিনা ইসলাম এ অভিযোগ করে থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্ত মেয়ের নাম সোনিয়া ইসলাম। তার স্বামীর নাম কাউসার হাসান।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের অক্টোবরে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওবায়দুল ইসলাম। তখন তাকে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। সেখানে তিনি কিছুটা সুস্থ হলে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। বাড়িতে এসে আবারও অসুস্থ হলে তাকে চিকিৎসার কথা বলে তার ছোট মেয়ে সোনিয়া ইসলাম ও জামাতা কাউসার হাসান ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর সাঁথিয়ায় সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে নিয়ে যান। এসময় ওবায়দুল ইসলামকে দলিলে সই দিতে বলেন তারা। তিনি রাজি না হওয়ায় মেয়ে ও জামাতা তার ওপর চাপ প্রয়োগ করেন। তারা বোয়ালমারী মৌজায় ওবাইদুল ইসলামের বসতবাড়িসহ বিভিন্ন মৌজার ১৭ দাগের দুই একর ৩৩ (সাড়ে ৬ বিঘা) শতক জমি লিখে নেন।
জমি লিখে নেওয়ার পর থেকেই অসুস্থ বাবা-মায়ের প্রতি মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন মেয়ে ও তার স্বামী। একপর্যায়ে গতবছরের ৪ জুন বাবা ওবাইদুল ইসলাম পাবনা জেলা জজ আদালতে দলিল বাতিলের মামলা করেন। বিষয়টি জানতে পেরে সোনিয়া ও তার স্বামী কাউসার হাসান গত ১০ মার্চ এ দম্পতিকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরে মেয়ের বিরুদ্ধে সাঁথিয়া থানায় মামলা করেন ওবায়দুল ইসলাম।
বাবা ওবাইদুল ইসলাম জানান, তার পল্লী ভবন নামের বাড়িটিতে মেয়ে সোনিয়া ইসলাম নির্মাণকাজ শুরু করেছেন। তাদের থাকার ঘরটিও ভাড়া দিয়েছেন। অন্যান্য কক্ষ মেয়ের পরিবার বসবাস করছে। তিনি এখন তার বড় মেয়ের বাড়িতে আশ্রিত হিসেবে রয়েছেন।
এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, সোনিয়ার বিরুদ্ধে তার বাবা-মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।