পাবনা জেলা প্রতিনিধিঃ
পাবনায় ইসলামী জালসায় তুচ্ছো ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিমুল মালিথাকে প্রকাশ্যে খুন করে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা।
জানা যায় পাবনা সদর থানা চরঘোষপুর কালুফকির পাড়া ইসলামী জালসায় সিরাই হুজুরের দোকানের সামনে সামান্য কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে পলাশ মালিথা(২১) নামক এক যুবককে বকুল সরদার(২৮) সহ আনুমানিক ২৮/৩০ জন কুপিয়ে হত্যা করে এবং একই এলাকার কাওছার হোসেন(১৯) ও দিসার আলী(২০) কে গুরুতর আহত করে।
গত ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পাবনা সদর থানায় ৮ ডিসেম্বর রবিবার ২২:৫০ ঘটিকার সময় ২৮ জনকে আসামী করে মামলা করা হয়। মামলা নং ২০ তাং ০৭/১২/২০২৪ ধারা নং ১৪৩/১৪৭/৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩০৭/৩০২/১১৪/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। সেদিনে ৩ জন ও পরবর্তীতে আরও ২ জন মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এতে এলাকায় ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা বাড়িঘর সহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাংচুর ও লুটপাট হয়। উল্লেখ্য যে তরুণ সরদারের বাড়ি, গোডাউনসহ ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করে লুটপাট করে এবং আগুন জ্বালিয়ে চলে যায় দুষ্কৃতিকারীরা। এছাড়াও তালেব সরদার, রেজা সরদার, আইয়ুব আলী, আল-আমীন, আমানত সরদার, হান্নান সরদার সহ বেশ কিছু বাড়ি ভাংচুর হয়।
অনেকেই এখন এলাকা ছাড়া। জানা যায় এই সুযোগে কিছু দুস্কৃতিকারী বাড়ির গোয়ালঘরের গরু, ছাগল, মুরগী, ক্ষেতের পিয়াজ সহ বিভিন্ন জিনিস লুটপাট করছে রাতের আঁধারে। এ নিয়ে এলাকায় এখনও চরম আতংক বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস সালাম বলেন আমরা জেনেছি তুচ্ছো ঘটনায় এক যুবক খুন সহ আরও দুজন গুরুতর আহত হয়। আমরা মামলাও গ্রহণ করেছি। আমরা এ পর্যন্ত ৫ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। এছাড়া পরর্বর্তী ভাংচুর লুটপাট বা নতুন করে কোন ঝামেলা যেন না হয় সে লক্ষ্যে পাবনা সদর থানা ও স্থানীয় হেমায়েতপুর পুলিশ ফাড়ি থেকে পর্যাপ্ত পুলিশ পাঠিয়ে সার্বক্ষনিক নজরদারিতে রেখেছি এলাকাটি। পাশাপাশি আমরা ডিবি, র্যাব ও সেনাবাহিনীকেও অবগত করেছি, তারাও নিয়মিত টহল দিচ্ছে।
এ বিষয়ে ডিবি ওসি হাসান বাসির এর সাথে কথা হলে তিনি জানান সদর থানার ওসি সাহেবের থেকে আমরা খবর পাই ও পুলিশ সুপারের নির্দেশে আমরা ঘটনাস্থল টহল দেই এবং সার্বক্ষনিক প্রস্তুত আছি কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার আভাস পাওয়া মাত্রই আমরা সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নেবো। এখনও সেখানে পর্যাপ্ত পুলিশ রয়েছে।
এলাকাবাসীর সাথে আলাপ করে জানা যায় তারা বলেনঃ ভুল বুঝাবুঝি নিয়ে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষতিটা হয়ে গেলো। বেশ কিছু বাড়িঘরেও ক্ষতি হয়েছে কিন্তু এখনও কে বা কারা সুযোগ সন্ধানী হয়ে এলাকায় ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছে। লুটপাটের সময় প্রশাসনকে জানালেও তারা ঘটনাস্থলে আসার আগেই যা ক্ষতি হবার হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিনই লুটপাট ভাংচুর চলছে। আমরা সাধারণ গ্রামবাসী এমন পরিস্থিতি থেকে নিস্তার চাই। যেহেতু এলাকাটি অনেক বড় সেহেতু আইনশৃঙ্খলার সকল বাহিনী আরও বেশি সংখ্যক সদস্য সব সময় সেখানে উপস্থিত থেকে এবং টহল দিয়ে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।