ঈশ্বরদী(পাবনা) প্রতিনিধি :
ঈশ্বরদীর মাঠ জুড়ে সবুজের সমারোহ। শীতের আগেই বাজারে উঠতে শুরু করেছে শিম। ভালো ফলন ও বেশি দামে শিম বিক্রি করতে পেরে খুশি তারা। তবে সার ও কীটনাকের উচ্চ দামে হতাশ কৃষকগণ। সরকারি সহযোগিতা পেলে অত্র এলাকার শিম চাষীরা অনেক লাভবান হবেন বলে আশা কৃষকদের। সার কীটনাশক এর দাম কমানোর আহবান কৃষকদের।
উপজেলার বিভিন্ন এলকা ঘুরে দেখা গেছে চাষিরা বিভিন্ন জাতের শিম চাষ করছেন। এর মধ্যে শিমের উল্লেখ যোগ্য জাত হলো- অটো, রুপবান, চকলেট, কেরালা, ঘৃত কাÂন জাতের শিম আবাদ করেছে বেশি। এছাড়াও স্থানীয় জাতের শিমও আবাদ হয়েছে প্রচুর পরিমাণে।
মুলাডুলি এলাকার শিম চাষী মনিরুল ইসলাম জানান, আগাম জাতের শিম আবাদ করে আসছি। প্রতি বছরই কম বেশি লাভ হচ্ছে। তবে কীটনাশকের দাম বেশি। বিষ কিনতে গেলে ছয়শত টাকার উপরে লাগে অথচ তিন ঢোপ দিলেই শেষ হয়ে যায়।
একই এলাকার শিম চাষি মোস্তফা কামাল জানান, এবছর আমি আমার ২বিঘা জমিতে শিম চাষ করেছি। ফলন মোটামুটি ভালো। গতকাল আড়তে শিম বিক্রি করেছি ১৭০ টাকা কেজি। তবে উৎপাদন ও লেবার খরচ অনেক বেশি।
চরমিরকামারী গ্রামের কৃষক জসিম জানান, তিনি এবছর ৫ বিঘা জমি খাজনা নিয়ে অটো জাতের শিম চাষ করেছেন। বিঘাপ্রতি ১ লক্ষ টাকা করে শিম বিক্রি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সরাইকান্দি গ্রামের শিমচাষী লিটন জানান, বিঘা প্রতি খরচ বাদে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা লাভ হয়। বর্তমানে শিমের আবাদে নানা উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন ব্যয় কিছুটা বেশি। বীজ লাগানোর পর থেকে এক বিঘা জমিতে শিম আবাদ করতে বীজ, সার, বাঁশ, তার, শ্রমিক, সেচ খরচ হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।
ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি অফিসার মিতা সরকার জানান, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ৮৯০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের শিম চাষ হয়েছে। আগাম শিম আবাদে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। কৃষকদের নানা ভাবে মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।