গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে অস্থিরতার মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। দলীয়প্রধান দেশ ছাড়ার পর আত্মোগোপনে চলে গেছেন আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ নেতাকর্মী। অনেকে গোপনে দেশ ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়েরও পরিকল্পনা করেছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে সুন্দরবনে আশ্রয় নেন পাঁচ শিশুসহ ১১ বাংলাদেশি। পরে বন বিভাগের কর্মীদের হাতে ধরা পড়েন তারা। বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে তাদের আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে।
ঠিক সেভাবে ভারতে পালানোর জন্য দালালের সঙ্গে চুক্তি করেন একদল বাংলাদেশি। তবে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে না দিয়ে শেষ পর্যন্ত সুন্দরবনে ফেলে রেখে পালিয়েছে দালাল। গত শনিবার (৩১ আগস্ট) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজকাল বাংলাদেশের এক প্রতিবেদনে এ জানানো হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বন বিভাগের হাতে আটক হওয়া সবার বাড়ি খুলনা। শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর অস্থিরতার মুখে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেন তারা।
তাদের দাবি, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে তারা পালাতে বাধ্য হন। এ জন্য ভারতে আসতে চেয়ে এক দালালের শরণাপন্ন হন তারা।
গ্রেপ্তার এক বাংলাদেশি মহিলার অভিযোগ, ভারতে পালাতে দালালের সঙ্গে তাদের ৪৫ হাজার টাকার চুক্তি হয়। তবে ওপারে নিয়ে জঙ্গলে ফেলে পালিয়ে যান তিনি।
জানা গেছে, বন বিভাগের কর্মকর্তাদের টহলের সময় তাদের নজরে আসেন তারা। পরে তাদের সুন্দরবন কোস্টাল থানা হস্তান্তর করা হয়। তাদের মধ্যে একজন পুরুষ রয়েছেন। তাদেত হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে পুলিশ।